মঙ্গলবার মাগুরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ আরাফাত হোসেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ ফিরোজুর রহমান জানান, মামলা থেকে অব্যাহতি চাওয়া পাঁচ আসামির আবেদন খারিজ করে অভিযোগভুক্ত ১৭ আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরু নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
একইসঙ্গে আদালত আগামী ৮ মে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন রেখেছে বলেও জানান তিনি।
মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন, সুমন সেন, আলী আকবর, মুজিবুর রহমান, সুমন আলী, ফরিদুর রহমান, সাগর, বাপ্পী গাজী, ইলিয়াস মোল্যা, সোহেল মিয়া, লিটন মল্লিক, মিল্টন মল্লিক, নজরুল ইসলাম, সোবহান শেখ, সোলায়মান হোসেন, তৈয়বুর রহমান তোতা, মো. সুমন ও আয়নাল শেখ।
এদের মধ্যে সেন সুমন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও তৈয়বুর রহমান তোতা জেলা সমবায় লীগের সাধারণ সম্পাদক।
২০১৫ সালের ২৩ জুলাই মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়ে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সমর্থক দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মমিন ভূইয়া নামে একজন নিহত হয়। এছাড়া সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন এক পক্ষের নেতা কামরুল ভূইয়ার ভাবি অন্তঃসত্ত্বা নাজমা বেগম। পরদিন গুলির ক্ষত নিয়েই জন্ম হয় তার শিশু।
এ ঘটনায় ২৫ জুলাই মোমিন ভুইয়ার ছেলে রুবেল ছাত্রলীগ নেতা সুমন সেনকে প্রধান আসামি করে সদর থানায় ১৬ জনের নামে মামলা করেন। মামলার আসামিদের মধ্যে আজিবর নামে একজন এরই মধ্যে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
তদন্ত শেষে এজাহারভুক্ত এক আসামির নাম বাদ ও নতুন তিন জনের নাম যোগ করে পরবর্তীতে ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
এদিকে সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী রুবেল ভুইয়া। তিনি দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।