বাগেরহাটে ট্রলার ডুবে ৪ নারীর মৃত্যু

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় পানগুছি নদীতে ট্রলার ডুবে অন্তত চার নারীর মৃত্যু হয়েছে; নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ১৮জন।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2017, 06:17 AM
Updated : 28 March 2017, 03:52 PM

উপজেলার থানাঘাটের কাছে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়।

মোরেলগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, দুর্ঘটনার পর চার নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্তত ১৮যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন।

একটি দ্রুতগতির নৌযানের ঢেউয়ে ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

মৃতরা হলেন - বিউটি (৩৮), পেয়ারা (৫০), সুফিয়া (৭৫) ও নাদিরা (৪৪)। এদের মধ্যে সুফিয়া ও বিউটি মা-মেয়ে।  সকলের বাড়ি মোরেলগঞ্জ উপজেলায়।

ঘটনার পর থেকে পুলিশ, দমকল বাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।

পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান স্থানীয়দের বরাতে বলেন, ৫০-৬০ জন যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারটি ছোলমবাড়িয়া ঘাট থেকে পুরাতন থানাঘাটে যাচ্ছিল। ঘাটের কাছে পৌঁছানোর পর ডুবে যায়।

মোরেলগঞ্জ থানার ওসি রাশেদুল আলম জানান, চার লাশ ছাড়াও আহত  তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক নারী ও শিশুকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অন্য এক নারীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ট্রলার ডুবির কারণ বলতে পারেনি।

 

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, “ট্রলারডুবির নির্দিষ্ট কারণ এখনই বলা যাচ্ছে না। উদ্ধারকাজ চালানোর পাশাপাশি আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।”

ঘটনা তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোমিনুর রশিদকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।

জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, কমিটিকে কার গাফলতিতে কিভাবে ট্রলারটি ডুবল তা তদন্ত করে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটিতে জেলা প্রশাসনের তিন কর্মকর্তা, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একজন করে রাখা হয়েছে।

“চার নারীর প্রত্যেক পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা সাহায্য দেওয়া হয়েছে। নিখোঁজদের বিষয়ে তথ্য নিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।”