রায়পুর থানার ওসি লোকমান হোসেন জানান, চরআবাবিল ইউনিয়নে গাজী বাড়ি থেকে দগ্ধ অবস্থায় ওই গৃহবধূকে সোমবার সকালে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
দগ্ধ সালেহা বেগম (২৮) ওই গ্রামের লোকমান গাজীর স্ত্রী। তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা রয়েছে।
ঘটনার পর লোকমান পালিয়ে গেছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন,“আগুনে সালেহার গলা, বুকসহ শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি লোকমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, লোকমানের সঙ্গে ১৪ বছর আগে একই গ্রামের আব্দুল খালেক মোল্লার মেয়ে সালেহার বিয়ে হয়। সম্প্রতি লোকমান দ্বিতীয় বিয়ে করায় এ নিয়ে সালেহার সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল।
“সকালে সালেহাকে তিন লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলেন লোকমান। এতে অস্বীকৃতি জানালে লোকমান ঘরের মধ্যে সালেহার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।”
পরে এলাকাবাসী টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
সালেহা বলেন, “তিন লাখ টাকার যৌতুক এনে না দেওয়ায় লোকমান আমার শরীরে ‘কেরোসিন ঢেলে’ হত্যার চেষ্টা করে।”
এদিকে ওসি লোকমান বলছেন, “পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই গৃহবধূ নিজেই নিজের শরীরে আগুন দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
এ বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।