নাটোরে ধর্ষণের দায়ে দুই যুবকের যাবজ্জীবন

নাটোরে দুই বছর আগে বাক প্রতিবন্ধী এক আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে দুই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। 

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2017, 09:44 AM
Updated : 27 March 2017, 09:44 AM

সোমবার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক রেজাউল করিম এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন সিংড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের সুইট ওরফে কালু (৩২) ও মো. চান মিয়া ওরফে ফেরদৌস (২৬)। তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  

আদালতের পেশকার সাইফুল ইসলাম জানান, দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিদের এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিতে হবে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় এ মামলা থেকে তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।

এরা হলেন মাহাবুবুর রহমান (৩২) মোস্তাক (৩০) মজনু ওরফে কুটুর (২৮)। তাদের বাড়িও সিংড়ার হোসেনপুর গ্রামে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পতিসর বাজার থেকে ২০১৫ সালের ২৩ অগাস্ট রাতে বাক প্রতিবন্ধী (১৯)ওই তরুণীকে জোর করে তুলে সিংড়ার হোসেনপুর গ্রামের একটি সেতুর নিচে নিয়ে যাওয়া হয়। 

সেখানে পাঁচজন মিলে মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে স্থানীয় এক নারী তাকে উদ্ধার করেন।

তবে মেয়েটির ভাষা বুঝতে না পারায় তাৎক্ষনিকভাবে তার নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। ফলে ধর্ষণের বিষয়টি ওইসময় চাপা পড়ে। পরে ওই নারীও নিখোঁজ হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান কবীর জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে জানার পর ঘটনাটি একটি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে সিংড়া থানার কালিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল জব্বার বাদী হয়ে ধর্ষণের মামলা করেন।

মামলায় কালু, ফেরদৌস, মাহাবুবুর, মোস্তাক,ও মজনুকে আসামি করা হয়। মামলাটির তদন্ত শুরু করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হাই।

তদন্ত চলাকালে আসামিরা সবাই আদালতে হাজির হলে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়। রিমান্ড শেষে কালু ও চান বিচারকের কাছে জবানবন্দিও দেন বলে জানান পিপি।

তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হলে এ মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। এ মামলায় নয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।