রোববার মাগরিবের নামাজের পর সুনামগঞ্জ শহরের সাহেববাড়ি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন নিহতের ছোট ভাই আবু জাবেদ নিপু।
কয়ছর জেলা শহরের নতুনপাড়ার মৃত মরহুম আছদ্দর আলী চৌধুরী ও মৃত হাসনা চৌধুরীর ছেলে।
নিপু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বেলা ২টায় সিলেট পুলিশ লাইনে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখান থেকে তার মরদেহ সুনামগঞ্জে আনা হবে।
সদর থানার ওসি শহিদ উল্লাহ জানান, সিলেট থেকে লাশ সুনামগঞ্জ এসে পৌঁছলে শহরের ওয়েজখালীর পুলিশ লাইনে চৌধুরী আবু কয়সারকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। পরে তার বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।
নিপু বলেন, পুলিশের শ্রদ্ধা জানানো হয়ে গেলে মরদেহ নতুনপাড়ার বাসায় আনা হবে যাতে স্বজনরা শেষবারের মতো দেখতে পারে।
“পরে মাগরিবের নামাজ শেষে সাহেববাড়ি কবরস্থানে মা, বাবার কবরের সমাহিত করা হবে।”
সাত ভাই ও এক বোনের মধ্যে কয়ছর ছিলেন তৃতীয় বলে জানান নিপু।
শিববাড়ির পাঠানপাড়া এলাকায় জঙ্গি আস্তানা পাঁচতলা ওই বাড়ি ঘিরে এ অভিযান শুরু হয় বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে। শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোদের ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ শুরুর পর ওই বাড়ির বিভিন্ন তলা থেকে ৭৮ জনকে উদ্ধার করা হয়।
ওই অভিযান নিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করার পর কাছেই একটি জায়গায় দুই দফা বিস্ফোরণে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহত হন। আহত হন র্যাব-পুলিশের তিন কর্মকর্তাসহ অন্তত ৪৩ জন।
নিহতরা হলেন-জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম ও আদালত পুলিশের পরিদর্শক চৌধুরী মো. আবু কয়ছর, স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা জান্নাতুল ফাহিম, কলেজছাত্র অহিদুল ইসলাম অপু, নগরীর দাঁড়িয়াপাড়ার বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম (৩৮) ও সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার কাদিম শাহ (৩৫)।