ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে আমের গুটি, পানের বরজ, ভুট্টা ও বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।
শনিবারের এ ঝড়-বৃষ্টিতে সাপাহার ও পোরশা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
নিহতরা হলেন পোরশার কুশুমকুন্ডা গ্রামের রুহুল আমিনের স্ত্রী নাদিরা খাতুন (৩২) ও সাপাহার উপজেলালা সদরের মসজিদপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে মহসিন আলী মিস্ত্রি (৪৮)।
পোরশার ছাওর ইউপি চেয়ারম্যান ফফরুদ্দিন আলী আহমেদ জানান, সকালে গরু নিয়ে মাঠে যাচ্ছিলেন নাদিরা খাতুন। ওই সময় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে গাছ চাপা পড়ে মারা যান তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সত্যব্রত সাহা জানান, ঝড়-বৃষ্টিতে জেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সাপাহার ও পোরশা উপজেলায়। এই দুই উপজেলার শত শত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। ক্ষতি হয়েছে চলতি মৌসুমের গুটি আম, ভুট্টা, পানের বরজসহ অন্যান্য ফসল।
তবে কী পরিমাণ ফসলের ক্ষতি হয়েছে তার তালিকা প্রণয়নের জন্য জেলার ১১ উপজেলা কৃষি অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক আমিনুর রহমান বলেন, “সংশ্লিষ্টদেরকে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করতে বলেছি। তালিকা পেলে ত্রাণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”