বুধবার রাতে পরিবারের সদস্যরা নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে তাদের পরিচয় শনাক্ত করেন।
এরা হলেন ঠাকুরগাঁওয় সদরের জগন্নাথপুর ইউনিয়নের সিংগিয়া মুন্সিপাড়া গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে মাঈন উদ্দিন ওরফে মহির (১৫) ও একই গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে রাশেদুল ইসলাম ওরফে রসুল (১৩)। এরা দুজনই মাদ্রাসার ছাত্র।
বুধবার সকালে ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মীর্জাগঞ্জ বাজারের কাছে রেল লাইনের উপর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মাঈন উদ্দিন মহিরের বাবা জামাল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে মহির নীলফামারীর চাঁদেরহাটে খালা মরিয়ম বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে রসুলকে সাথে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। তারা ঠিকমত নীলফামারী পৌঁছেছে কিনা জানার জন্য সন্ধ্যায় তাদের মোবাইলে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
“এ সময় তার খালা মরিয়মকে ফোন দিলে তিনি জানান তারা নীলফামারী যায়নি।”
মহিরের বাবা জামাল হোসেন ও রসুরের বাবা আব্দুস সোবহান বলেন, বুধবার রাত ৮টার দিকে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশের কাছে খবর পেয়ে রাতেই তারা নীলফামারী সদর থানায় গিয়ে দুজনের লাশ শনাক্ত করেন।
মাঈন উদ্দিন মহির খালপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এবং রাশেদুল ইসলাম রসুল মুন্সিপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় হাফিজিয়া বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
এ দুই কিশোরের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তাদের দুই বাবা বলেন, হয়ত তারা ট্রেন থেকে পড়ে নিহত হয়ে থাকতে পারে।
নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ওসি এ কে এম লুৎফর রহমান বলেন, দুই কিশোরের মৃতদেহের পাশ থেকে বন্ধ থাকা মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ফোন দুটি চালু করে তাদের বাবার নম্বরে ফোন করে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে নিহত দুই কিশোরের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ দুটি হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পর মৃত্যুর কারণ জানা সম্ভব হবে।