হরকাতুল জিহাদের এই জঙ্গিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। সেখানেই বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি প্রাণভিক্ষার সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানান।
জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক মো. ছগির মিয়া বলেন, আপিল বিভাগে রিভিউ খারিজের রায় এবং বিচারিক আদালতের পরোয়ানা পড়ে শোনানো হলে বুধবার রিপন বলেছিলেন, স্বজন ও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি সিদ্ধান্ত জানাবেন।
“আজ বেলা ১২টার দিকে রিপন বলেছেন, তিনি প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন। আবেদন করার জন্য তিনি সাত দিন সময় পাবেন। সেই দিন গণনা বুধবার থেকে শুরু হয়েছে।”
এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল আছেন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে। তারাও প্রাণভিক্ষা চাইব্নে বলে বুধবার কারা কর্তৃপক্ষকে ইংগিত দিয়েছেন।
সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে ২০০৪ সালের ২১ মে ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরী গ্রেনেড হামলার মুখে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই পুলিশের এএসআই কামাল উদ্দিন নিহত হন।
এছাড়া পুলিশ কনস্টেবল রুবেল আহমেদ ও হাবিল মিয়া নামের আরেক ব্যক্তি মারা যান হাসপাতালে। আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অন্তত ৪০ জন ওই ঘটনায় আহত হন।
এ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুই আসামি মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে হাই কোর্ট যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছিল। আপিল না করায় তাদের ওই সাজাই বহাল থাকে।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন। তাদের আবেদন গত ১৯ মার্চ সর্বোচ্চ আদালতে খারিজ হয়ে যায়। ফলে চূড়ান্ত বিচারেও ফাঁসির রায় বহাল থাকে।
প্রাণ বাঁচাতে এই তিন জঙ্গির সামনে এখন কেবল কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কৃপা চাওয়ার সুযোগই বাকি।
প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে সরকার কারাবিধি অনুযায়ী তাদের দণ্ড কার্যকর করবে। সরকারের নির্দেশনা পেলে দণ্ড কার্যকরের সব প্রস্তুতি রয়েছে বলে বুধবারই জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।