বুধবার কুমিল্লার ৪র্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নূর নাহার বেগম শিউলী এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মানিকপুর গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে শিপন মজুমদার ওরফে রিপন (২২), একই উপজেলার আটগ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে সাহাবুদ্দিন (২২) এবং নগরীর চাঁনপুর বউবাজারের মো. খোকন মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা ওরফে সালমা (২৬)।
এদের মধ্যে শিপন মজুমদার ওরফে রিপন পলাতক রয়েছেন বলে ওই আদালতের পিপি মোস্তাফিজুর রহমান লিটন জানান।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার লতিফ শিকদার গ্রামের মৃত পেয়ার আহম্মেদের ছেলে প্রবাসী শামসুল হুদা ওরফে শামসুকে (৩৮) অপহরণ করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসামিরা।
পরবর্তীতে দাবিকৃত মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে তিন দিন পর (১২ ডিসেম্বর) কুমিল্লা হাউজিং স্টেট এলাকায় শামসুল হুদাকে হাত-পা বেঁধে এবং মুখে স্কচ টেপ লাগিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন শামসুর বড়ভাই মো. জসিম।
পিপি মোস্তাফিজুর রহমান লিটন জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জসিম উদ্দিন কুমিল্লা নগরীর চাঁনপুর বউ বাজার এলাকার খোকন মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা ওরফে সালমাকে আটক করেন। পরবর্তীতে তাসলিমার দেওয়া তথ্যমতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম মিয়ারবাজারের একটি হোটেল থেকে অপর দুই আসামি শিপন মজুমদার ওরফে রিপন ও সাহাবুদ্দিনকে আটক করা হয়।
এসআই জসিম উদ্দিন ২০১৪ সনের ১০ মে শিপন মজুমদার, সাহাবুদ্দিন ও তাসলিমার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় বলে জানান পিপি লিটন।
রাষ্ট্রপক্ষে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের এপিপি সৈয়দা রেখা এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ইকরামুল হক ও নাইমা সুলতানা মুন্নী।