সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বুধবার বিভাগীয় কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “অনেকেই বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙ্গিয়ে দোকান খুলে বসে আছেন। আসার পথে দেখলাম ডিজিটাল লীগ নামে ব্যানার।
“এই লীগ, সেই লীগ - কত যে লীগ গঠন করছে সুবিধাভোগীরা! প্রজন্ম লীগ, তরুণ লীগ - কত লীগ! এখন শুনছি হাইব্রিড লীগও গঠন করা হয়েছে। এসব অপকর্ম আর চলবে না।”
এদের ধরে পুলিশে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
নির্বাচনের আর মাত্র দেড় বছর বাকি আছে স্মরণ করিয়ে দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, “গডফাদার পেশাহীন পেশাজীবীরা তাদের পেশিশক্তি দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে দলকে বিব্রত করছে। আওয়ামী লীগে তাদের দরকার নেই।
“ঘরের মধ্যে ঘর, মশারির মধ্যে মশারি টানানো চলবে না।”
দলকে সুশৃঙ্খল করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সামনে নির্বাচন। কথা কম, কাজ বেশি। স্ট্রঙ্গার, স্মার্টার দল নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। এবং বিজয়ী হতে চাই।’’
বিএনপিকে নিয়ে নেতাকর্মীদের বিচলিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “তারা নির্বাচনে ব্যর্থ, আন্দোলনে ব্যর্থ। মানুষ পুড়িয়ে এখন আর মানুষ পায় না। তাদের আন্দোলনের মরা গাঙ্গে আর জোয়ার আসবে না। বিএনপি এখন নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে।”
আওয়ামী লীগের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটিগুলো দ্রুত পুনর্গঠনের নির্দেশ দিয়ে স্থানীয় নেতাদের উদ্দেশে কাদের বলেন, “বছরের পর বছর জমিদারদের মতো পদ নিয়ে বসে থাকা চলবে না। সম্মেলন করে কমিটি গঠন করুন। কোনো অবস্থায় পকেট কমিটি মেনে নেওয়া হবে না।”
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন সমাবেশে বক্তব্য দেন।