মঙ্গলবার ওই ঘটনার সময় মমতাজ উদ্দিন সেখানে ছিলেন না।
এদিকে এ ঘটনার পর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বাসভবনে কিছু যুবক হামলা চালিয়েছে বলে তার স্ত্রীর দাবি।
বগুড়া সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের নাতি জেলা স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্র মানাত মাহমুদকে স্কুল থেকে বাড়ি নিতে আওয়ামী লীগ নেতার গাড়ি স্কুলের ভিতরে যায়।
“এ সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী আকন্দ গাড়ি দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে চালককে গালাগাল শুরু করলে চালকের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়।”
ওসি বলেন, এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে স্কুলের কিছু ছাত্র যোগ দেয় এবং ছাত্ররা ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে।
বিষয়টি জানাজানি হলে বেশকিছু দলীয় কর্মী স্কুলের সামনে অবস্থান নিলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃস্টি হয়। পরে স্কুলের ভিতরে ও বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে ওসি জানান।
গাড়ি ভাংচুরের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক রমজান আলীর সঙ্গে দেখা করা হলেও তিনি কিছু বলতে অস্বীকার করেন।
ওসি আরও জানান, গাড়ি ভাংচুর ও চালককে মারপিট করার অভিযোগে গাড়ি চালক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
রাতে প্রধান শিক্ষক রমজান আলীর কাছে ফোন করা হলে তার স্ত্রী বলেন, সেউজগাড়ী এলাকায় তার বাড়িতে কিছু লোক হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে।