নোয়াখালীতে শিলাবৃষ্টি, তরমুজের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

নোয়াখালীতে চর এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে তরমুজ ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

নোয়াখালী প্রতিনিধিআবু নাছের মঞ্জু, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2017, 03:47 PM
Updated : 21 March 2017, 05:04 PM

হঠাৎ শিলাবৃষ্টির কারণে তরমুজের ক্ষেতে পানি জমে যায়। ১০-১২ দিনের মধ্যে তরমুজের ফলন ঘরের তোলার কথা থাকলেও অসময়ের এ শিরাবৃষ্টিতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছে কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, নোয়াখালীতে এবার সাতে তিন হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া কারণে ফলনও ভালো হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক প্রনব ভট্টাচার্য্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আর ১০-১২ দিনের মধ্যে ফলন ঘরের তোলার কথা ছিল; কিন্তু প্রচণ্ড বাতাস ও শিলাবৃষ্টির কারণে সবগুলো তরমুজের ক্ষেত আক্রান্ত হয়। বেশিরভাগ তরমুজের জমি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বৃষ্টি নামার পরপরই নালা কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হলেও তাতে খুব একটা লাভ হবে বলে মনে হচ্ছে না।

“ভারি বর্ষণে সমবগুলো জমিতে জনি জমে আছে। অনেক স্থানে পানির নিচে তলিয়ে গেছে ফলন। তরমুজ চাষিরা বড় ধরনের ক্ষতিরমুখে পড়েছেন। এতে কমপক্ষে ৪০ ভাগ জমির ফলন নষ্ট হয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”

কৃষকদের সহযোগিতার চিন্তা-ভাবনা করছে কৃষি বিভাগ, বলেন তিনি।

সদর উপজেলার ভাটির কেট এলাকার কৃষক রুহুল আমিন সর্দর বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তরমুজের চাষ করেছিলেন। বৃষ্টিতে তার ১৫ একরের তরমুজের ক্ষেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।

সুবর্ণচর উপজেলার চানমিয়া বলেন, তার ৯ একর জমির তরমুজ ক্ষেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে অকাল বৃষ্টিতে।

“লাখ লাখ টাকা খরচ করে তরমুজের চাষ করেছি। এখন জমির দিকে তাকালে ঠিক থাকতে পারি না। আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে।”