পটুয়াখালী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অবরুদ্ধ

প্রবেশন প্রথা বাতিলসহ কয়েকটি দাবিতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ উপাচার্য হারুন-অর রশিদকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।

পটুয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2017, 02:02 PM
Updated : 21 March 2017, 04:41 PM

মঙ্গলবার দুপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকসহ সবকটি গেইটে তালা ঝুলিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরিস্থিতি শান্ত করতে কয়েকজন শিক্ষক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন। ওই সময় তারা অকথ্য ভাষায় শিক্ষকদের উদ্দেশে শ্লোগান দেন।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিভিন্ন অনুষদের ৭ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের উপর আরোপিত প্রবেশন প্রথা তুলে নেওয়ার দাবিতে ক্লাশ বর্জন করে আন্দোলন শুরু করেন সকল শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করে ক্যাম্পাসের সকল গেইট বন্ধ করে দিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন।

দাবি না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত সাংবাদিকদের বলেন, “তাদের এ অযৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার মতো নয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আমরা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপপরিচালক মাহফুজুর রহমান সবুজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চার বছরের কোর্সে মোট সেমিস্টার হচ্ছে আটটি। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের বছরে দুটি করে সেমিস্টার পাশ করতে হয়।

“চতুর্থ বছরের প্রথম সেমিস্টার হলো কোর্সের সপ্তম সেমিস্টার। এ সেমিস্টার ফেল করলে শিক্ষার্থীকে প্রমোশন দেওয়া হয় না। এটা হলো প্রবেশন প্রথা।”    

মাহফুজুর রহমান সবুজ জানান, শিক্ষার্থীদের দাবি হলো- ফেল করলেও তাদেরকে উত্তীর্ণ করতে হবে এবং পরে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে আসবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ দাবি মানছে না।

 

সকাল থেকে উপাচার্যসহ অন্তত ৩০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী অবরুদ্ধ রয়েছেন বলে মাহফুজুর জানান।  

শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়া কৃষি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবিএম মাহবুব মোর্শেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, “বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আমরা মুল ফটকে যেতে চাইলে আন্দোলনরত ছাত্ররা আমাদেরকে বাধা দেয়। এছাড়া আর কিছুই হয়নি।”

শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া পুরোটাই অযৌক্তিক বলে মনে করেন মাহবুব।