এরা হলেন ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তাহেরুল ইসলাম তোতা ও অলোয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সরকার।
মুখ্য বিচারিক হাকিম ভূঞাপুর আমলি আদালতের বিচারক নওরিন মাহবুব মঙ্গলবার তাদের হেফাজতে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, দুপুরে আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালতের বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রথম দফার রিমান্ডে আসামিদের দেওয়া বেশ কিছু ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের’ সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত করছে। তথ্য ‘যাছাই-বাছাইয়ের’ জন্য তাদের দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়।”
এর আগে গত বুধবার প্রথম দফায় আসামিদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত। এ হত্যার ঘটনায় ভূঞাপুর উপজেলার ভারই গ্রাম থেকে চান মিয়া নামের আরও একজনকে সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ওসি।
গত ৬ ডিসেম্বর সকালে রকিবুল ইসলামের গলাকাটা লাশ ভারই মধ্যপাড়ার গ্রামের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।এর আগের দিন রাতে নিখোঁজ হন তিনি।
ওই দিনই রকিবুলের ভাই ফজলুল করিম বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে ভূঞাপুর থানায় মামলা করেন।
পরে ফজলুল করিম বাদী হয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে আরও একটি সম্পূরক মামলা দায়ের করেন বলে ওসি অশোক জানান।
মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক তাহেরুল ইসলাম ওরফে তোতা, যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত সদস্য আব্দুল হামিদ মিয়া ওরফে ভোলা, অলোয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সরকারসহ সাত জনের নাম উল্লেখ করা হয়।