‘শিক্ষকের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা, গর্ভপাতের পর নিখোঁজ’

মাদারীপুরে ‘শিক্ষকের ধর্ষণের শিকার’ এক স্কুলছাত্রীর গর্ভপাত ঘটানোর পর মামলা না করতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মাদারীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2017, 06:22 AM
Updated : 21 March 2017, 06:49 AM

সদর মডেল থানার ওসি জিয়া মোরশেদ জানান, ধুরাইল ইউনিয়নের একটি গ্রামে এক স্কুলছাত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর গর্ভপাত ঘটানোর খবর তারা পেয়েছেন।

তবে ওই ছাত্রী কোথায়, কীভাবে আছে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।

ছাত্রীর বড় বোন সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় একটি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রভাবশালী সুলতান মাতবর (৬০) গ্রামের সব বাড়িতেই অবাধে যাতায়াত করেন।

“উনি আমার বোনকে ধর্ষণ করার পর সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। লজ্জায় কাউকে বলেনি। পরে দৃশ্যমান হলে গত শনিবার রাতে সুলতানের লোকজন এসে গর্ভপাত ঘটায়। আর এ নিয়ে কথা না বলার জন্য শাসিয়ে যায়। আমরা গরিব মানুষ। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কিছু করার নেই।”

বড় বোনের সঙ্গে সাংবাদিকরা কথা বলার সময় ওই বাড়িতে আর কাউকে দেখা যায়নি।

ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর সঙ্গে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে তার বোন বলেন, “তাকে আমরা বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি। তার কারণে এখন আমরা মুখ দেখাতে পারি না। গ্রামের কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলে না।”

প্রতিবেশীরাও গর্ভপাতের পর থেকে ওই ছাত্রীকে আর দেখেননি বলে জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, সুলতান মাতবরের স্ত্রী মারা গেছেন অনেক দিন আগে, ছেলেমেয়েরা ঢাকায় থাকেন। গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে তিনি নিজে এর প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেন কয়েক বছর আগে। 

বর্তমান প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার বলেন, “গত জানুয়ারি থেকে সুলতান সাহেব নিয়মিত স্কুলে আসেন না।”

ছাত্রীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “এলাকার মানুষের মুখে মুখে শুনেছি। প্রকৃত ঘটনা কী তা জানি না।”

ওই ছাত্রীও অনেক দিন ধরে স্কুলে আসে না বলে প্রধান শিক্ষক জানান।

সোমবার সুলতান মাতবরের বাড়ি গিয়ে সেখানে তালা মারা দেখা যায়। মোবাইল ফোনে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি ধরেননি।

ওসি জিয়া বলেন, “এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।”