এর আগে থেকেই অ্যাম্বুলেন্সটি অধিকাংশ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাদের দখলে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।
চৌগাছা থানার এসআই জামাল হোসেন জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন - ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র কামরুজ্জামান গনি, একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র স্বাগত বিশ্বাস ও অ্যাম্বুলেন্স চালক মিজানুর রহমান।
গনি টাঙ্গাইল আদালতপাড়ার একাব্বর আলীর ছেলে। স্বাগতম বিশ্বাস খুলনার টুটপাড়ার মিলন বিশ্বাসের ছেলে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মশিউর রহমান হলের বাসিন্দা।
এসআই জামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গোপনে জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে তল্লাশি চালানো হয়।
“তাদের কাছে অবৈধ চার বোতল ভারতীয় মদ থাকায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের নামে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।”
আটকের খবর পেয়ে মশিউর রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতিসহ নেতা-কর্মীরা চৌগাছা থানায় ভিড় করেন বলে জানান এসআই জামাল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে অভিযোগ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়েলর অ্যাম্বুলেন্সটি অধিকাংশ সময় ছাত্রলীগের নেতাদের দখলে থাকে। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন ও তার লোকজন ব্যক্তিগত কাজে অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করার কারণে রোগীদের কোনো কাজে আসে না।
তবে শামীম হোসেন এসব অভিযোগ ঠিক নয় দাবি করে বলেন, “আমি কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করি না। আমার একটি মোটরসাইকেল আছে। আমি সেটাই ব্যবহার করি।”
চৌগাছা থানায় আটক দুই ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী বলে স্বীকার করে শামীম বলেন, “ঘটনা শুনেছি। তারা ছাত্রলীগের কর্মী। তারা দোষী সাব্যস্ত হলে সংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”