রোববার দুপুরে সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশে এ আহ্বান জানান তিনি।
পুলিশ প্রধান বলেন, “পৃথিবীর সব দেশেই জঙ্গি পেলে মেরে ফেলা হয়। অথচ বাংলাদেশে একটি মহল জঙ্গিবাদের পক্ষে বিবৃতি দিচ্ছে, আর বলছে আমরা নাকি জঙ্গি নিয়ে খেলা করছি।
“ওনারা দেশের স্বার্থ চায় না। এটা ষড়যন্ত্রের অংশ।”
তিনি বলেন, “মনে রাখবেন আমরা জঙ্গিদের পরাস্ত করতে পেরেছি। এখন জনগণ সচেতন হলে তাদের নির্মূল করা সম্ভব। সাধারণ মানুষ সবাই দেখবেন দেশটি যেন তালেবান রাষ্ট্র বা সিরিয়া না হয়।”
শহীদুল হক বলেন, “সমাজ থেকে এখনও জঙ্গি নির্মূল হয়নি। অতীতে চালানো অভিযানের কারণে তারা দুর্বল হয়ে পড়েছিল। কিন্তু তারা নতুন করে আবারও সক্রিয় হয়েছে।”
পুলিশ জঙ্গি নির্মূলে সক্রিয় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তারা যেখানে মাথা চাড়া দেবে আমরা সেখানেই কাজ করবো।”
এতে সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়া কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেন আইজিপি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আশকোনায় র্যাব ক্যাম্পের ভেতরে কীভাবে জঙ্গি ঢুকে পড়ল সেটি তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়। তবে তার কাছে বোমা ছিল, সেই বোমা বিস্ফোরণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামে জেলা পুলিশের আয়োজনে ওই সমাবেশে
কমিউনিটি পুলিশিং প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, জনগণ ও পুলিশ এক সঙ্গে কাজ করার যে সংস্কৃতি তাই হচ্ছে কমিউনিটি পুলিশিং।
মাদক উদ্ধার, বিক্রেতা ও মাদক সেবীদের গ্রেপ্তার এবং মামলা দিয়ে মাদকের ভয়াবহতা রোধ করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও নাগরিকদের দায়িত্ববোধ সৃষ্টিতে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা কাজ করবে বলে জানান তিনি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ম ম আমজাদ হোসেন মিলন, হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সংরক্ষিত নারী সদস্য সেলিনা বেগম স্বপ্না, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম, খুরশিদ হোসেন, র্যাব-১২ এর পরিচালক শাহাব উদ্দিন, জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা, কমিউনিটি পুলিশের জেলা সমন্বয়ক বিমল কুমার দাস, সদস্য জান্নাত আরা হেনরী, সদর উপজেলার আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন, বেলকুচি পৌর কমিটির সভাপতি গাজী সাইদুর রহমান ও কাজিপুর উপজেলার সোনামুখি ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর প্রমুখ।
এরআগে সকালে শহরের বাজার স্টেশন মুক্তির সোপান থেকে হাতি, ঘোড়া ও বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রে সজ্জিত হয়ে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। শহীদুল হকের নেতৃত্বে বের হওয়া র্যালিটি সমাবেশে গিয়ে শেষ হয়।