দুর্নীতির মামলায় রোকেয়ার সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

দুর্নীতির মামলায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ড. আব্দুল জলিল মিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2017, 10:37 AM
Updated : 19 March 2017, 10:37 AM

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক সমন্বিত রংপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক আকবর আলী জানান, রোববার দুপুরে রংপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

অন্য আসামিরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী মণ্ডল, উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এ টি জি এম গোলাম ফিরোজ, সহকারী রেজিস্ট্রার মোর্শেদ উল আলম রনি ও সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার আশরাফুল আলম।

এদের মধ্যে আব্দুল জলিল মিয়া বর্তমানে কানাডায় বসবাস করছেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুল জলিল মিয়া তার মেয়াদে নিয়োগ সংক্রান্ত যাচাই কমিটির সভাপতি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) প্রশাসনিক ও আর্থিক অনুমোদন ছাড়া এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির নিষেধাজ্ঞার পরও দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ক্ষেত্রমতে যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও এ টি জি এম গোলাম ফিরোজ, মোর্শেদ উল আলম রনি, খন্দকার আশরাফুল ইসলামসহ ৩৪৯ জনকে নিয়োগ দেন। সরকার বাজেট বরাদ্দ না দেওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য খাত থেকে বেতন-ভাতা দেওয়া হয়।

আসামি উপ-রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী মণ্ডল ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্বে থেকে জনবল নিয়োগসহ উপাচার্যের সকল অন্যায়কাজে সহযোগিতা করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আকবর আলী বলেন, মামলাটি তদন্ত করে অভিযোপত্র অনুমোদনের জন্য রংপুর কার্যালয়ের উপ-পরিচালকের মাধ্যমে ঢাকায় দুদক কার্যালয়ে পাঠানো হয়। গত ৮ মার্চ দুদক ঢাকার কার্যালয় অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য অনুমোদন দেয়।

আসামীদের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দণ্ডবিধি ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান আকবর আলী।  

২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর দুদক সমন্বিত রংপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল করিম বাদী হয়ে রংপুর কোতোয়ালি থানায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবদুল জলিল মিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি ২০১৩ সালের ৪ মে উপাচার্য আব্দুল জলিলকে তার পদ থেকে অব্যাহিত দেন।