জয়পুরহাটে ‘তুলে নেওয়া’ সেই ৪ জন ‘বিস্ফোরকসহ’ গ্রেপ্তার

জয়পুরহাটে নাশকতা মামলায় জামিন পাওয়া সেই চার আসামিকে ফের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের তিন দিন আগে কারা ফটক থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন স্বজনরা।

জয়পুরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 March 2017, 08:06 AM
Updated : 17 March 2017, 08:07 AM

সদর থানার ওসি ফরিদ হোসেন জানান, বিভিন্ন নাশকতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বিস্ফোরক সরঞ্জামসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তারা হলেন - জয়পুরহাট সদর উপজেলার হাঁটুভাঙ্গা গ্রামের নিহাজ উদ্দিনের ছেলে শাহ্ আলম (৩৫), মিটনা গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে নাহিদুল ইসলাম নাহিদ (২৬), দণ্ডপানি গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৫) ও মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মাসুদুল আলম (২৫)।

শাহ্ আলমের স্ত্রী ববি খানম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “আদালত থেকে জামিনের পর তিন দিন আগে বুধবার রাত ৯টার দিকে জয়পুরহাট কারাগারের মূল ফটক থেকে মাইক্রোবাসে করে তাদের তুলে নেয় কয়েকজন লোক।

“আমাদের সামনে থেকেই গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে এই চারজনকে তুলে নেওয়া হয়।”

নাহিদের বোন নাহিদা সুলতানারও একই অভিযোগ, “একটি কালে মাইক্রোবাসে করে আমাদের সামনে থেকেই গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে এই চারজনকে তুলে নিয়ে যায়।”

সে সময় ওসি ফরিদ হোসেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান চারজনকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছিলেন।

শুক্রবার ওসি ফরিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুক্রবার ভোরে তাদের জেলা সদরের হিচমি কৃষি কলেজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে ৩০০ গ্রাম গানপাউডার, আটটি পেট্রোল বোমা, দুটি ককটেল সদৃশ্য হাতবোমা ও কয়েকটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা  হয়েছে।”

গত বুধবার এই চারজন জামিন পাওয়ার পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেছিলেন, ২০১৫ সালের ১০ এপ্রিল পুলিশ জয়পুরহাট সদর উপজেলার চৌমুহনী বাজারে অভিযানে গেলে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীসহ তাদের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কজন পুলিশ আহত হয়।

“ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গোয়েন্দা পুলিশের মামলায় ওই চার আসামি ২০১৬ সালের ২৪ অগাস্ট আত্মসর্মপণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। বুধবার তারা জামিনে মুক্ত হন।”