পুলিশের দাবি, এ ব্ষিয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
স্বজনদের উপস্থিতিতে বুধবার রাত ৯টার দিকে আসামিরা কারাগার থেকে বের হলে তাদের তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন - জয়পুরহাট সদর উপজেলার হাঁটুভাঙ্গা গ্রামের নিহাজ উদ্দিনের ছেলে শাহ্ আলম (৩৫), মিটনা গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে নাহিদুল ইসলাম নাহিদ (২৬), দণ্ডপানি গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৫) ও একই গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মাসুদুল আলম (২৫)।
শাহ্ আলমের স্ত্রী ববি খানম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের সামনে থেকেই গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে এই চারজনকে তুলে নেওয়া হয়।
নাহিদের বোন নাহিদা সুলতানারও একই অভিযোগ।
“একটি কালে মাইক্রোবাসে করে আমাদের সামনে থেকেই গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে এই চারজনকে তুলে নিয়ে যায়।”
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালের ১০ এপ্রিল পুলিশ জয়পুরহাট সদর উপজেলার চৌমুহনী বাজারে অভিযানে গেলে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীসহ তাদের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কজন পুলিশ আহত হয়।
“ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গোয়েন্দা পুলিশের মামলায় ওই চার আসামি ২০১৬ সালের ২৪ অগাস্ট আত্মসর্মপণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। বুধবার তারা জামিনে মুক্ত হন।”
তবে কেউ তাদের তুলে নিয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না বলে দাবি করেন। সদর থানার ওসি ফরিদ হোসেন ও পুলিশ সুপার রশীদুল হাসানও এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।
কারাগারের একাধিক কর্মচারী বলেন, কারাগারের সীমানা প্রাচীরের প্রথম ফটক দিয়ে মাইক্রোবাস নিয়ে এসে মূল ফটক থেকে জামিনপ্রাপ্ত চারজনকে আবারও আটক দেখিয়ে পুলিশই নিয়ে গেছে।