বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ জানান, বুধবার বেলা ৩টার দিকে ‘ফ্লাই দুবাই’ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ওসমানীতে অবতরণ করে।
এরপর বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে দুবাইয়ের উদ্দেশে বিমানটি সিলেট থেকে ছেড়ে যায় বলে জানান তিনি।
২০১৫ সালের ১ এপ্রিল বিদেশি বিমান অবতরণের মাধ্যমে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু হয়। কিন্তু গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং জটিলতায় একদিন পরই বন্ধ হয়ে যায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট উঠানামা।
বিকালে যাত্রীদের বিমানবন্দরে স্বাগত জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
মন্ত্রী বলেন, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরকে সুপরিসর উড়োজাহাজ অবতরণের উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
“আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে আগে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বাংলাদেশ বিমানই করেছে। এখন বিমান চাইলে তারাই গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করবে।”
এ সময় জাতিসংঘের বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আবদুল মোমেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গনি চৌধুরী, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান ইয়াসিন আলী, ফ্লাই দুবাইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গায়েত আল গায়েত, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম. ফজলে আকবরসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯৮ সালের ২০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে স্বীকৃতি পায় সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর।
ফ্লাই দুবাই এয়ালাইন্সের সিলেট স্টেশনের ম্যানেজার মাসুম মিয়া বলেন, “সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে এখন নিয়মিত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলবে।
গ্রাউন্ড সার্ভিস জটিলতায় ২০১৫ সালে ফ্লাইট শুরু করেও চালু রাখতে পারিনি। তবে এবার রিজেন্ট এয়ারওয়েজের সাথে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের চুক্তি করেছি, তাই সমস্যা হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আগামী তিন মাস ফ্লাই দুবাই সপ্তাহে পাঁচদিন আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করবে। পরবর্তীতে সপ্তাহের প্রতিদিন ফ্লাইট চালু করা হবে বলে জানান মাসুক মিয়া।
আরব আমিরাত থেকে আসা প্রবাসী আব্দুল হাকিম ও মিসবাহ উদ্দিন বলেন, সরাসরি ফ্লাইট চালু হওয়ায় কোনো ঝামেলা ছাড়াই তারা সিলেট পৌঁছাতে পেরেছেন।
আগে ঢাকা হয়ে আসতে নানা বিড়ম্বনা পোহাতে হত উল্লেখ করে ফ্লাইট চালু হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন এ দুই প্রবাসী।