এমপি লিটন হত্যা: ফের রিমান্ডে কাদের খান

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যায় গ্রেপ্তার আবদুল কাদের খানকে অস্ত্র মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের (সুন্দরগঞ্জ) বিচারক মো. মইনুল হাসান ইউসুব জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার পাঁচদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে গাইবান্ধা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম জানান।

এরআগে এ মামলায় গত ৭ মার্চ কাদের খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

রিমান্ড শেষে বুধবার আদালতে তাকে হাজির করে আবারও সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুন্দরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান।

রবিউল ইসলাম বলেন, এমপি লিটনের হত্যাকারীরা তিনটি অস্ত্র ব্যবহার করে। এরমধ্যে কাদের খান লাইসেন্স করা অস্ত্রটি তিনি থানায় জমা দিয়েছেন। আর তার দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী তার বাড়ির উঠানের গর্ত থেকে আরেকটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

“কিন্তু আরেকটি অস্ত্র পাওয়া যায়নি। ওই অস্ত্র বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাদের খানকে একদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে অস্ত্র সম্পর্কে কোনো তথ্য না পাওয়ায় বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে আবারও সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।”

শুনানি শেষে বিচারক পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানান তিনি।

গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নে সাহবাজ গ্রামে নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত পাঁচ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের খানকে বগুড়া থেকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এর আগে মেহেদি, শাহীন, রানা ও তার ব্যক্তিগত গাড়ি চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারাও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

এছাড়া পুলিশ এ হত্যায় কাদেরের কথিত সহযোগী সুবল চন্দ্র ও সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী শামছুজ্জোহা সরকার জোহাকেও গ্রেপ্তার করেছে।