গাজীপুরে জেলা ও দায়রা জজ একেএম এনামুল হক বুধবার আসামির উপস্থিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. ফরহাদ হোসেন ওরফে মারুফের (৩০) বাড়ি নগরীর বারবৈকা এলাকায়।
যাবজ্জীবনের পাশাপাশি বিচারক আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বলে গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মো.রবিউল ইসলাম জানান।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় এ মামলা থেকে আসামির ভাই সোহরাব হোসেন (২৮) ও বোন শাহনাজ বেগমকে (৩৫) খালাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, বারবৈকা এলাকার মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের ছেলে স্থানীয় একটি কারখানার পোশাক শ্রমিক বিজয়ের কাছ থেকে একই এলাকার ফরহাদ স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা ধার নেন।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ না করায় বিজয় টাকা চেয়ে ফরহাদকে তাগাদা দিতে থাকলে এনিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এক পর্যায়ে ফরহাদ হত্যার হুমকি দেন বিজয়কে।
এ ঘটনা বিজয় এলাকার বিশিষ্টজনদের জানালে তাদের মাধ্যমে ঘটনার মীমাংসা করা হয়।
পরে ২০১২ সালের ১০ মে সকালে ফরহাদ তার ভাই সোহরাব ও বোন শাহনাজকে সঙ্গে নিয়ে বিজয়ের বাড়ি যায় এবং স্ট্যাম্পটি ফেরত দেন।
পরে বিজয়কে টাকা আনতে তাদের বাড়ি যেতে বলেন ফরহাদ। এরপর স্ট্যাম্পসহ ফরহাদের বাড়ি গিয়ে বিজয় নিখোঁজ হন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
পরিদর্শক রবিউল বলেন,“দুইদিন পর স্থানীয় মো. কফিল উদ্দিনের বাসার পাশের একটি ডোবায় বিজয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।”
এ ঘটনায় বিজয়ের মা নিলুফার বেগম ওই বছরের ১৩ মে ওই তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে জয়দেবপুর থানার এআই এসএম কামরুজ্জামান ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিলে এ মামলার বিচার কাজ শুরু হয়।
এ মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।