কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম জানান, বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ভুরুঙ্গামারী উপজলোর পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবি গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক এসহাক আলী (৫৭) ওই গ্রামের ‘পীর’ আজিম উদ্দিনের ছেলে। এসহাকও একজন ‘পীর’।
সোমবার রাতে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার দৌলাগ্রামে কথিত পীর ফরহাদ হোসেন চৌধুরী (৭২) ও তার গৃহকর্মী রুপালিকে (২২) গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা মেনহাজুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এসহাককে আটকের পর দিনাজপুর পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
এদিকে দিনাজপুরের পুলিশ ঘটনার তৃতীয় দিনেও হত্যার পেছনের কোনো তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি।
কথিত পীর ফরহাদ হোসেনের চাচা আমিনুল ইসলাম চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ফরহাদ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সাত-আট বছর আগে নির্বাচনে হেরে দুরবস্থার মধ্যে পড়েন তিনি।
“সে সময় কুড়িগ্রামের কথিত পীর এসহাকের সঙ্গে ফরহাদের যোগাযোগ হয়। এসহাকের প্ররোচনায় পীর বনে যায় ফরহাদ। এসব আমরা মানুষের মুখে মুখে শুনেছি। আমি কখনও ফরহাদের দরবারে যাইনি। শুনেছি অনেকে তার মুরিদ হয়েছে।”
এসহাক মাঝে মাঝে ফরহাদের দরবারে আসতেন বলে প্রতিবেশী মো. খয়রুল আলম চৌধুরীসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন।