বগুড়ায় ধরে নিয়ে গুলি করার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

বগুড়া সদর উপজেলায় বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে এক তরুণকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2017, 08:14 AM
Updated : 13 March 2017, 10:51 AM

তবে পুলিশ বলছে, ওই তরুণ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’।

আহত রাব্বি (২৪) ঠনঠনিয়া নতুনপাড়ার আবদুল মজিদের ছেলে।তাকে সোমবার ভোরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ছিনতাই ও মাদক আইনে ওই যুবকের বিরুদ্ধে সদর থানায় ছয়টি মামলা রয়েছে বলে ওসি ইমদাদ হোসেন জানান।

রাব্বির বাবা আবদুল মজিদ বলছেন, শনিবার রাত ৩টার দিকে তাদের নতুনপাড়ার বাসা থেকে তার ছেলেকে ধরে নিয়ে যান স্টেডিয়াম ফাঁড়ির এসআই মো. মামুন। কিন্তু রাব্বি ‘মাদকাসক্ত হওয়ায়’ তিনি তাকে ছাড়াতে যাননি।

“রোববার রাত ৪টার দিকে রাব্বির মোবাইল ফোন থেকে কল করে এক লোক জানতে চায়- রাব্বি আমার কে হয়।

“এ সময় পাশ থেকে রাব্বির কান্নার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল। রাব্বি বারবার বলছিল, ‘বাবা, তুমি আমার জন্য কিছুই করলে না। ওরা আমাকে গুলি করবে।’ এ সময় সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। আমি ভেবেছিলাম মাদকাসক্ত ছেলে নেশার ঘোরে আবোল-তাবোল বকছে।”

এরপর সোমবার সকালে মজিদ খবর পান, তার ছেলেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, মাদকাসক্ত রাব্বির নামে ‘মামলা না করার জন্য’ বেশ কয়েকবার টাকাও নিয়েছেন এসআই মামুন।

তবে এসআই মামুনের দাবি, রাব্বিকে ধরে নেওয়া হয়নি; টাকা নেওয়ার অভিযোগও সঠিক নয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে মালগ্রাম উত্তরপাড়া এলাকায় একদল ছিনতাইকারী জড়ো হয়েছে খবর পেয়ে অভিযানে যায় পুলিশ।

“সেখানে গেলে ছিনতাইকারীরা পুলিশের দিকে গুলি ছোড়ে। পুলিশ পাল্টা গুলি করলে রাব্বির বাঁ পায়ে গুলি লাগে।”

এ সময় রাব্বি ও আলমগীর (২৫) নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয় জানিয়ে এসআই মামুন বলেন, পরে রাব্বিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও পুলিশের ভাষ্য।

এসআই মামুন বলেন, রাব্বির নামে আরেকটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।