জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ও সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ইক্ষু খামার ভুমি উদ্ধার কমিটির আয়োজনে শনিবার গোবিন্দগঞ্জে এ মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে তারা।
মানববন্ধনে ঘটনা সুষ্ঠু বিচারের সঙ্গে সঙ্গে বাপ-দাদার জমি ফেরতেরও দাবি জানায় সাঁওতালরা।
সাঁওতালরা ছাড়াও বাঙ্গালী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও এতে যোগ দেন।
১৯৬২ সালে রংপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষ সাঁওতাল ও বাঙালিদের ১৮টি গ্রামের ১ হাজার ৮৪০ দশমিক ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করে আখ চাষের জন্য সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার গড়ে তুলেছিল। ওই জমি ইজারা দিয়ে ধান ও তামাক চাষ করে অধিগ্রহণের চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ তুলে তার দখল ফিরে পেতে আন্দোলনে নামে সাঁওতালরা।
পরে সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মে বিরোধপূর্ণ চিনিকলের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিতে কয়েকশ’ ঘর তুলে বসবাস শুরু করে তারা। গত ৬ নভেম্বর চিনিকল কর্তৃপক্ষ জমি উদ্ধার করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে।
সংঘর্ষের সময় সাঁওতালদের বাড়িঘরে লুটপাট হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায়। ওই ঘটনায় নিহত হন তিন সাঁওতাল, আহত হন অনেকে। পরে দুটি রিট আবেদন হলে বিষয়টি হাই কোর্টে আসে।
তদন্ত করে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিতও করে পুলিশ।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গাইবান্ধা জেলা কমিটির সভাপতি মিহির ঘোষ, সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ইক্ষু খামার ভূমি উদ্ধার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুফল হেমব্রম, আদিবাসী নেত্রী রিনা মার্ডি, অলিভিয়া হেমব্রম, জন উদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের জেলা সভাপতি প্রতিভা সরকার ববি, উপজেলা সিপিবির সভাপতি তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়নের উপদেষ্টা হরিশংকর সাহা, আদিবাসী নেতা বার্নাবাস টুডু প্রমুখ।
বক্তারা সাঁওতাল হত্যা, সাঁওতাল পল্লীতে অগ্নিসংযোগ, হামলা, লুটপাটকারীকারীদের মূলহোতাদের গ্রেপ্তার ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় চিহ্নিত পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি জানান।
এছাড়া উচ্ছেদ সাঁওতালদের বাপ-দাদার জমি ফেরত দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান তারা।