গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন - ময়মনসিংহের বিল্লাল হোসেন, রাজশাহীর আব্দুল রশিদ (৩৮) ও নওগাঁর আব্দুল মান্নান (৪৫)।
রাজশাহী
রাজশাহীর বাগমারা থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ জানান, শ্রীপুর গ্রামের বাড়ি থেকে শুক্রবার ভোরে পুলিশ আব্দুল রশিদকে গ্রেপ্তার করে।
ইয়াছিন আলীর ছেলে আব্দুর পুলিশের তালিকাভুক্ত জেএমবি সদস্য বলে জানান তিনি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ওসি নাছিম জানান, বাগমারায় সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইয়ের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবিতে ২০০৪ সালে যোগ দেন ইয়াছিন।
“সে সময় আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় নাশকতার মামলা হয়। ওই মামলায় সম্প্রতি আদালত থেকে অব্যাহতি পেয়ে এলাকায় ফিরে তিনি আবারও জঙ্গি সংগঠনের কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।”
সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে বলেন জানান ওসি।
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে দাপুনিয়ার বাড়ি থেকে বিল্লাল হোসেনকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
“বিল্লালের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও বিস্ফোরক আইনে ২০১৬ সালে দুটি ও ২০০৫ সালে আরও দুটি মামলা হয়। জামিনে থাকলেও নাশকতার পরিকল্পনা করার খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
বিল্লাল ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বলে জানান ওসি কামরুল।
নওগাঁ
নওগাঁর আত্রাই থানার ওসি বদরুদ্দোজা জানান, ২০০৪ সালে জেএমবির উত্থান হয় এ এলাকায়। সে সময় বাংলা ভাই সর্বহারা নিধনের নামে হত্যাযজ্ঞ, মারধর, লুটতরাজ, ভাংচুর করেন।
“এসব কর্মকাণ্ডে আব্দুল মান্নান সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। মান্নান দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।”