বৃহস্পতিবার শহরের শিবরামপুর জুবিলি ট্যাংকপাড়ায় একটি বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয় বলে র্যাব জানিয়েছে।
র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্টে রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ট্যাংকপাড়ার হায়দার আলী নিজ বাড়িতে অনুমোদনহীন ‘ডোরা ফুড প্রডাক্টস’ নামে নকল এনার্জি ড্রিংকস ও নকল ওষুধ তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন।
“সেখানে র্দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন কোম্পানির মোড়কে নকল জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এনার্জি ড্রিংকস, সফট ড্রিংকস, উৎপাদন করে বাজারজাত করে আসছিলেন তিনি।”
রুহুল আমিন জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে বিকালে র্যাব এই অভিযান চালায়। অভিযানে এক কোটি উনত্রিশ লাখ টাকা মূল্যের নকল ওষুধ ও ওষুধ তৈরির বিভিন্ন উপকরণ এবং বিপুল পরিমাণ নকল ড্রিংকস জব্দ করে।
এ ব্যাপারে এমবি ফার্মাসিটিউক্যাল লিমিটেডের সার্ভে ইনচার্জ জহিরুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা র্যাবের মাধ্যমে জানতে পেয়েছি পাবনায় হায়দার আলী নামের এক ব্যাক্তি নিজ বাড়িতে আমাদেও কোম্পানির ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে প্রয়োজণীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
“এই ওষুধগুলো মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও নিউরো সায়েন্সের চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ ধরনের ওষুধ তারা কিভাবে তৈরি ও বাজারজাত করেন আমাদের তা বোধগম্য নয়।”
ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) শফিকুল ইসলাম বলেন, এই ধরনের অভিযেগে জেল জরিমানা হওয়া প্রয়োজন।
এ ব্যপারে এলাকাবাসী পবিত্র রহমান বলেন, নকল ওষুধ জব্দ করা সত্বেও কাউকে আটক বা কারখানাটি সীলগালা এবং মেশিনারিজ জব্দ না করে শুধু জরিমানা করা হয়েছে।
“বিষয়টি বুঝলাম না, এটি কি শুধু প্রশাসনের সাথে বনিবনা না হওয়ার জন্যে এমন কাজ করা হচ্ছে?”
মেশিনারিজ না জব্দ করার বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন মনিরা বলেন, “আপনারা দেখেন যদি তারা পুনরায় উৎপাদন করে, তাহলে আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে।”
দুই মাস আগেও একই ধরনের অভিযান পরিচালিত হওয়ার বিষয়ে বলা হলে তিনি কিছু না বলেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।