সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা বুধবার আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আসামি বদরুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের সাজা দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিজ্ঞ আদালত যে রায় দিয়েছে, আমি সেই রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল; কেননা আদালত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আইন অনুযায়ী নিয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক রাশেদ তালুকদার বলেন, “আমি এই রায়ে অত্যন্ত খুশি; কেননা এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচারের একটা নজির স্থাপন হলো। এতে বদরুলের মতো বদ মানুষেরা একটু হলেও সতর্ক হবে।”
চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারাও।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান বলেন, “বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি ছিল, বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশকে মুক্ত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছে।”
“বদরুলের রায়ে সেটাই প্রকাশ পেয়েছে। আমরা এ রায়ে অত্যন্ত খুশি।”
তবে বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, “বদরুল যে কাজ করেছে তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। সে হত্যার উদ্দেশ্যেই খাদিজার উপর হামলা করেছিল। তাই তার সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল। ”
নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বৃষ্টি রানী দাস বলেন, “বদরুলের মতো নরপশুদের দ্বারা আমাদের সমাজে এখনও তনু, ঝুমা, খাদিজার মত নারীরা নির্যাতিত হয়ে থাকেন। একমাত্র সঠিক বিচারের মাধ্যমে এসব নরপশুর পশুবৃত্তিকে দমিয়ে রাখা সম্ভব হবে। তা না হলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি লাগামছাড়া হয়ে উঠবে।”
গত বছরের ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজে পরীক্ষা দিতে যাওয়া সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস কোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজাকে কুপিয়ে জখম করার পরদিন বদরুলকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল কমিটি।
পরে ২৩ অক্টোবর এক সিন্ডকেট সভা আহ্বানের মাধ্যমে বদরুলকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।