আহত কৃপাসিন্ধু মণ্ডল (৪৭) গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি উপজেলার বাসুরিয়া সেনেরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক।
হাসপাতালের চিকিৎসক চৌধুরী ফরিদুল ইসলাম বলেন, তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তবে তার আঘাত ‘তত গুরুতর নয়’।
বুধবার রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সেনেরচর গ্রামে তার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন কৃপাসিন্ধু।
তিনি বলেন, বুধবার ক্লাস ফাঁকি দিয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মেহেদী হাসান মোল্লা ধূমপান করছিল। তিনি তাকে ক্লাসে যেতে বলেন।
“এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা জড়িয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।”
রাতের খাবারের সময় মেহেদী ও তার বাবা বাচ্চু মোল্লা তার ঘরে গিয়ে মারধর করে। তার স্ত্রী ঠেকাতে গেলে তাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং ঘর থেকে ৫০ হাজার টাকা ও স্ত্রীর গলার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন কৃপাসিন্ধু।
মেহেদির মা রাবেয়া বেগম বলেন, “ওই শিক্ষক অকারণে আমার ছেলেকে ক্লাসে বেত দিয়ে মারধর করেছেন। তার শরীরে বেতের দাগ বসে রয়েছে।
“স্কুল ছুটির পর আমার ছেলে এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় ওই শিক্ষক তার মুখে চারটি থাপ্পর মারেন। পরে আমার ছেলে ওই শিক্ষকের বাড়িতে গেলে তাদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়।”
টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি এ কে এম এনামুল কবীর বলেন, ওই শিক্ষক থানায় অভিযোগ করার পর রাতেই ছেলে ও বাবাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় পুলিশ; কিন্তু তাদের পাওয়া যায়নি।