২০১৫ সালের ১১ অগাস্ট ওই নারীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বাড়ির পাশে খেতে ফেলে রাখা হয় বলে জানান এপিপি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক রেজাউল করিম বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত জামাল হোসেনের (৫৫) বাড়ি লালপুর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে।তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাইবুন্যালের পেশকার সাইফুল ইসলাম জানান, যাবজ্জীবনের পাশাপাশি আসামির সম্পদ থেকে ৫০ হাজার টাকা আদায় করে ছয় মাসের মধ্যে ওই নারীকে ক্ষতিপূরণ দিতে নাটোরের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে।
মামলার নথিতে বলা হয়, ২০০৭ সালের ২১ মে বাড়িতে একা পেয়ে রান্না ঘরে ঢুকে জামাল তার ১৮ বছর বয়সী পুত্রবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় ওই নারী তাকে বাধা দিলে জামাল তাকে হাঁসুয়া দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
ঘটনার পাঁচদিন পর ওই গৃহবধূ লালপুর থানায় শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। ২০১৪ সালে ১৯ ডিসেম্বর এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।