দুই ছাত্রকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ২

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় ছাগল চুরির অভিযোগে দুই স্কুলছাত্রকে গাছে বেঁধে নির্যাতনসহ ১৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

দুর্গাপুর থানার ওসি রুহুল আলম জানান, ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাহার আলী মণ্ডলসহ নয়জনকে আসামি দেখিয়ে মামলা করেছেন এক কিশোরের অভিভাবক।

মামলার পর বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ইউনিয়নের আমগাছি বাজার থেকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মোতালেব ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল লতিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আটকের আগে আব্দুল মোতালেব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, মঙ্গলবার রাতে দুই কিশোর আন্দুয়া গ্রামের রেজাউলের বাড়ি থেকে ছাগল চুরি করে। বুধবার ভোরে রাজশাহীর হরিয়ান বাজার দিয়ে ছাগলটি নিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তা প্রহরী সন্দেহবশত ছাগলসহ তাদের আটক করে।

“খবর পেয়ে আমরা গিয়ে ছাগলসহ দুইজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। প্রথমে তারা চুরির কথা অস্বীকার করে। পরে চড়থাপড় দিলে স্বীকার করে।”

এ বিষয়ে গ্রামের সালিশ-বৈঠক হয় জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, সালিশে দুইজনের ১৬ হাজার টাকা জরিমানা হয়।

“এর মধ্যে আড়াই হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে ছাগলের মালিক রেজাউলকে। আর বাকি টাকা খরচ হয়েছে দুইজনকে হরিয়ান বাজার থেকে ছাড়িয়ে আনতে গিয়ে।”

দুই কিশোর উপজেলার আমগাছী সাহারবানু উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র বলে তিনি জানান।

শালিস বৈঠকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাহার আলী মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

নির্যাতনের শিকার এক কিশোরের বাবা বলেন, “বাচ্চারা ভুল করেছে। তাই বলে তাদের গাছে বেঁধে পেটানো কোন আইনে আছে আমার জানা নেই। আবার ছাগল ফেরত দেওয়ার পরও ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”

এ ব্যাপারে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানিয়েছিলেন।

ওসি রুহুল বলেন, এ ঘটনায় এক কিশোরের অভিভাবক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাহার আলী মণ্ডলসহ নয়জনকে আসামি দেখিয়ে মামলা করেছেন।

“ওই মামলায় দুই ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে খবর পেয়ে নির্যাতিত দুই কিশোরকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।”