বুধবার গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন পটুয়াখালী সদর উপজেলার সিকেওয়া বুনিয়ার মৃত নাসির হাওলাদারের ছেলে মো. আবুল বাশার হাওলাদার (৩৩) এবং একই উপজেলার তিওকাটার আপ্তের আলী ঘরামী ওরফে আফতাব আলীর ছেলে হারুন ঘরামী ওরফে বাবুল (৪৬)।
রায় ঘোষণার সময় আবুল বাশার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
একইসঙ্গে আদালত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে বলে জানান আদালতের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরও তিন জনকে খালাস দিয়েছে আদালত।
মামলার বরাত দিয়ে রবিউল ইসলাম জানান, গোপলগঞ্জের মুকসুদপুরের বাকসাখোলা এলাকার শেখ ওমর আলী বিজিবির নায়েক পদে কর্মরত ছিলেন। পরে তিনি প্রেষণে র্যাব-৪-এ সাভারের নবীনগরের ক্যাম্পে যোগ দেন। সেখানে কর্মরত অবস্থায় ২০১৪ সালের ৮ নভেম্বর দুপুরে খবর পান টঙ্গীর বড়দেওড়া খাঁপাড়া রোড এলাকার বাসায় তার স্ত্রী সালমা সুলতানা ওরফে সাথী দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন।
তিনি জানান, কুলসুমের চিৎকার শুনে প্রতিবেশী ডাক্তার মিজান বাসার ভেতরে ঢুকে দুই ব্যক্তিকে দৌড়ে পালাতে এবং সালমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যে সালমার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওইদিনই ওমর আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় দুইজনকে আসামি করে টঙ্গী থানায় মামলা করেন। তদন্ত করে ২০১৫ সালের ১৫ অগাস্ট পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।