এমপি লিটন হত্যা: কাদের খান ফের রিমান্ডে

গাইবান্ধার সরকার দলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যায় গ্রেপ্তার আব্দুল কাদের খানকে এবার অস্ত্র মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 March 2017, 01:27 PM
Updated : 7 March 2017, 01:29 PM

গাইবান্ধার (সুন্দরগঞ্জ) আমলী আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মইনুল হাসান ইউসুফ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

ওই আদালতের পিপি শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, অস্ত্র আইনের একটি মামলায় পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের হেফাজতের (রিমান্ড) নেওয়ার আবেদন করে। আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

পিপি শফিকুল আরও জানান, এর আগে লিটন হত্যা মামলায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি আদালত কাদের খানের ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু রিমান্ডে থাকা অবস্থায় চতুর্থ দিনের মাথায় ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি স্বীকারোক্তি দেওয়ায় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

তিনি জানান, কাদের খানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ তার বাড়ি থেকে লিটন হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি ও ম্যাগজিন উদ্ধার করে। এখন হত্যায় ব্যবহৃত আরেকটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আদালতে তার রিমান্ডের আবেদন করে।

মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন

গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল আলম বলেন, এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডে তিনটি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। তার মধ্যে কাদের খান একটি লাইসেন্সকৃত বৈধ অস্ত্র থানায় জমা দেন। অপর একটি অবৈধ অস্ত্র রিমান্ডে থাকাকালীন কাদের খানের উপস্থিতিতে সুন্দরগঞ্জের পশ্চিম ছাপড়হাটি  গ্রামের বাড়ির উঠান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু তৃতীয় অস্ত্রটি সম্পর্কে কাদের খান এর আগে জিজ্ঞাসাবাদে কোনো তথ্য দেননি।

তাই তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত একদিন মঞ্জুর করে বলে জানান খায়রুল।

গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নে সাহবাজ গ্রামে নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত পাঁচ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের খানকে বগুড়া থেকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এর আগে মেহেদি, শাহীন, রানা ও তার ব্যক্তিগত গাড়ি চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারাও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

এছাড়া পুলিশ এ হত্যায় কাদেরের কথিত সহযোগী সুবল চন্দ্র ও সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী শামছুজ্জোহা সরকার জোহাকেও গ্রেপ্তার করেছে।