ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার পূর্ব পাগুলী গ্রামের বাড়ি থেকে সোমবার রাতে তাদের আটক করা হয় বলে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
এরা হলেন মোস্তফার বাবা মোফাজ্জল হোসেন, মা আছিয়া খাতুন, বড় ভাই আব্দুল মোতালেব ও শরিফুল ইসলাম।
তাদের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান এসপি।
ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান ও তার সহযোগীসহ ১৯ আসামিকে ২১ অগাস্টের গ্রেনেড মামলার হাজিরার জন্য কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সোমবার সকালে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থল থেকে হাতবোমা, সাউন্ড গ্রেনেড, চাপাতিসহ মাদ্রাসা ছাত্র মোস্তফা কামালকে (২৫) আটক করা হয়।
ময়মনসিংহের এসপি সৈয়দ নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, হান্নানের প্রিজনভ্যানে হামলা ও মোস্তফাকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়ার পর সোমবার রাতেই জেলা পুলিশ মোস্তফার গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালায়।
মঙ্গলবার দুপুরে এসপি নুরুল ইসলাম বলেন, মোস্তফা কামাল চার বছর আগে তারাকান্দা বড় মসজিদ থেকে কোরআনে হেফজ সম্পন্ন করেন। এরপর প্রায় দুই বছর ময়মনসিংহ বড় মসজিদে কোরআনে হেফজ শুনানি করেন। গত দেড় বছর ধরে নরসিংদী শেখের চর কওমি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে আসছিলেন।
“ছুটির কথা বলে গত মাসের ১০ তারিখে মাদ্রাসা থেকে চলে আসে। এ সময় বাড়ি থেকে দেড় হাজার টাকা নিয়ে যাওয়ার পর আর বাড়ি ফিরে আসেনি। তখনই হয়ত সে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে।”
মোস্তফার একমাত্র বোন খালেদা আক্তার গৌরীপুরে স্বামীর বাড়িতে থাকেন বলে জানান এসপি।
মোস্তফার বাবা মোফাজ্জল হোসেন জানান, মোস্তফা জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছে- এটা তারা মানতে পারছেন না, পরিবার ও এলাকাবাসী বিস্মিত হয়েছেন।
“কৃষিকাজ করে অনেক কষ্টে টাকা-পয়সা খরচ করে মোস্তফাকে মানুষ করার জন্য নরসিংদী পাঠালাম, কিন্তু সে জঙ্গি হলো; এই দুঃখ কোথায় রাখি।”
কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন তিনি।
স্থানীয় বালিখা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম দুদু বলেন, মোস্তফার বাবা অনেক কষ্টে কৃষিকাজ করে ছেলে-মেয়েদের বড় করেছেন।