বিভিন্ন বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, এ বছর বোল এসেছে প্রায় সব গাছে।
চারদিকে মুকুলের ছড়াছড়িতে খুব খুশি জেলার আমচাষীরা। বাগান পরিচর্যায় অক্লান্ত সময় দিচ্ছেন তারা।
শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর গ্রামের হাসান আল সাদি পলাশের প্রায় ৫০০ আমগাছ রয়েছে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সব গাছেই ভালো মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ভালো ফলন হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।”
“আবহাওয়া বিরূপ না হলে বাম্পার ফলন হবে আশা করছি।”
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন জানান, এ বছর জেলার প্রায় সব এলাকায় ভালো মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ভালো ফলন হবে।
গাছের গোড়ায় সেচের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এখন পরাগায়নের সময়। গুটি আসার আগ পর্যন্ত সব ধরনের স্প্রে করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এ জেলায় এ বছর ২৬ হাজার ১৫০ হেক্টর বাগানে আম চাষ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা গত বছরের চেয়ে ১৬৮০ হেক্টর বেশি।
“আর গাছের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। গত বছর ছিল ১৯ লাখের কম। গত বছর এ জেলায় আম উৎপাদন হয়েছিল প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিকটন।”