রোববার বিকালে উপজেলার কড়িয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে বলে জয়পুরহাট ২০ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমতিয়াজ চৌধুরী জানান।
আহত নূরুল আমিন উপজেলার কড়িয়া-হাজিপুর গ্রামের মৃত মোজাহার আলীর ছেলে। তাকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিজিবি কর্মকর্তা ইমতিয়াজ চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ ও ভারতীয় সীমান্তের ২৭৮/২৯ পিলার সংলগ্ন এলাকায় নিজ জমিতে সেচ দিতে যান নূরুল। এর কিছু দূরে হামলাকারী সুভাষ অবস্থান করে তাকে গালিগালাজ করতে থাকে।
“নূরুল প্রতিবাদ করলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সুভাষ বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে হাসুয়া জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়।”
তার চিৎকারে বিজিবি সদস্যরা গিয়ে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
সন্ধ্যার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এ বিজিবি কর্মকর্তা।
ঘটনার পর পরই পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে অভিযোগ দিলে বিএসএফ সদস্যরা হামলাকারী সুভাষকে আটক করে বলেও বিজিবি এ অধিনায়ক জানান।
সুভাষের বাড়ি ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মথুরাপুর থানার লকমী গ্রামে।