কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ মনোনয়নপত্র বৈধ

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ জনের মধ্যে চার জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2017, 06:18 AM
Updated : 5 March 2017, 10:03 AM

রোববার সকালে যাচাই বাছাইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মামুনুর রশীদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায় বলে নির্বাচন অফিস জানিয়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ৩০০ ভোটারের সমর্থনসূচক একটি তালিকা জমা দিতে হয়। মামুন ৩০৫ জনের তালিকা দিয়েছেন। তাই তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

বৈধ প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা, বিএনপির সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, জাসদের (রব) শিরিন আক্তার এবং প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) সোহেবুর রহমান।

মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন জানিয়েছেন মামুনুর রশীদ।

রোববার শুরু হওয়া যাচাইবাছাই শেষ হবে সোমবার। মেয়র পদের প্রার্থীদের পর কাউন্সিলরদের যাচাইবাছাই শুরু হয়েছে। আগামী ১৪ মার্চ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ৩০ মার্চ ভোট গ্রহণ হবে।   

আঞ্জুম সুলতানা সীমা

দুটি পৌরসভা নিয়ে ২০১১ সালের জুলাই মাসে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার পর দ্বিতীয় ভোট হবে এবার।

২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি প্রথম নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও এবার মেয়র পদে ভোট হবে দলীয় প্রতীকে। রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হতে দল থেকে প্রত্যয়ন নিতে হয়, আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৩০০ ভোটারের সমর্থনসূচক তালিকা দিতে হয়। তবে কাউন্সিলর পদের ভোট হবে আগের মতোই নির্দলীয়।

এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডলকে। তার সঙ্গে নয়জন সকহারী রিটার্নিং কর্মকর্তা থাকছেন।

মনিরুল হক সাক্কু

এ সিটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭ হাজার ৩৮৪ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২ হাজার ৩২৯ জন; নারী ১ লাখ ৫ হাজার ৫৫ জন। সিটি করপোরেশনে সাধারণ ওয়ার্ড ২৭টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড নয়টি। মোট ৬৫টি কেন্দ্রের ৪২১টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ হবে এবার।

প্রথম নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মনিরুল হক সাক্কু আওয়ামী লীগ সমর্থিত আফজল খানকে পরাজিত করে কুমিল্লা সিটির মেয়র নির্বাচিত হন।

২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা হয়। সে হিসাবে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন শেষ করার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও সীমানা নিয়ে আইনি জটিলতায় নির্বাচন আটকে যায়। সম্প্রতি স্থগিতাদেশ উঠে গেলেও বিগত কমিশন তফসিল ঘোষণার দায়িত্ব নতুন কমিশনের ওপর দিয়ে যায়।