এ অভিযোগে হালুয়াপাড়া শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক মো. মাসুমকে সাময়িকভাকে বরখাস্ত করেছে স্কুলটির ব্যবস্থাপনা কমিটি।
এছাড়া ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তাদেরকে পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার বিকালে স্কুলে এক জরুরি সভায় ব্যবস্থাপনা কমিটি শিক্ষককে বরখাস্ত এবং তদন্ত কমিটির গঠন করে।
বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা জানান, বৃহস্পতিবার মাথায় লম্বা চুল ও চুলে বিভিন্ন রং করে কয়েকজন ছাত্র স্কুলে আসে। এ সময় ক্লাশের শিক্ষক মাসুম এ ধরনের কয়েকজন ছাত্রের মাথার কিছু চুল কেটে দেন। পরে ওই ছাত্ররা সেলুনে গিয়ে পুরো মাথা ন্যাড়া করে এর প্রতিবাদ জানায়।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহাম্মেদ বলেন, ক্রীড়া শিক্ষক মাসুম ছাত্রদের নৈতিক শিক্ষাদানের জন্য চুলে ফ্যাশন করা ছাত্র সিফাত ও আরিফের মাথার সামান্য চুল কেটে দেন। পরে ছাত্ররা সেলুনে গিয়ে পুরো চুল কেটে ফেলে।
“তবে শাসনটি অপশাসনে পরিণত হয়। তাই বিষয়টি তদন্তের জন্য আবু সাইদ মেম্বারকে প্রধান করে ছয় সদ্যসের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা খন্দকার শামীমা আক্তার বলেন, “ঘটনার দিন দুপুরে ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। বাড়ি যাওয়ার পর এ ঘটনাটি ঘটেছে। তরে ক্রীড়া শিক্ষক শাসনের জন্য ছাত্রদের মাথার চুল কেটে দিয়েছেন।”
এ ব্যাপারে ক্রীড়া শিক্ষক মাসুম বলেন, বেশ কিছুদিন যাবত ছাত্রদের মাথার চুল কেটে ভালোভাবে স্কুলে আসার কথা বলা হচ্ছিল। তারপরও ছাত্ররা কথা না শুনে মাথার চুল বড় এবং বিভিন্ন কালার করে রেখেছে।
“আমি সিফাতের মাথার চুল সামান্য কেটে তাকে শাসন করেছি। এ সময় ছাত্ররা বেয়াদবি করে অন্যান্য ছাত্রদের চুলের কথা বলতে থাকলে আমি আরও এক ছাত্রের মাথার সামান্য চুল কেটে দেই।”
পরে ছাত্ররা তাকে হুমকি দিয়ে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায় বলে জানান মাসুম।