সিলেটে চোরদের হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ২

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গরুচোরের হামলায় এক গৃহকর্তার মৃত্যুর পর পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে গুলিতে আরও একজন মারা গেছেন; সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ‘অর্ধশতাধিক’।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা জানান, শনিবার সকালে উপজেলার মোস্তফানগর গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন - ওই গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে জিলু মিয়া (৬০) ও দক্ষিণ রাজনগর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে মফিজুর রহমান (৫০)।

পুলিশ কর্মকর্তা সুজ্ঞান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভোর ৪টার দিকে মোস্তফানগর গ্রামে একদল গরুচোর হানা দেয়। তাদের হামলায় গৃহকর্তা জিলু মারা যান। এ সময় গ্রামবাসী সোনাই সর্দার নামের এক চোরকে আটক করে।

“পুলিশ সকাল ৮টার দিকে আটক চোরকে উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসী বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছোড়ে।”

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় মফিজুর ঘটনাস্থলে মারা যান।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, মফিজুর পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন। এবং সংঘর্ষের সময় শুধু পুলিশই গুলি করেছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল লাইছ জানান, পুলিশের গুলিতে মফিজুর মারা গেছেন বলে স্থানীয়রা দাবি করার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ কর্মকর্তা সুজ্ঞান বলেন, প্রায় দুই ঘণ্টার এ সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়। তাদের মধ্যে এসআই তরিকুল, কনস্টেবল আমিনুল, সাদ্দাম ও ইয়াহইয়া গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মফিজুর গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কিনা এ বিষয়ে পুলিশ শুধু বলেছে, মফিজ কিভাবে মারা গেছেন এ বিষয়টি পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।