শুক্রবার কুষ্টিয়ার শিলাইদহে একটি প্রকল্পের উদ্বোধন শেশে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আনিসুল ইসলাম বলেন, “এখন পানির লেভেল নিচে নেমে গেছে, সে কারণে সঠিক পরিমাণে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। চুক্তি মোতাবেক ৫৪ হাজার কিউসিক পানি পাওয়ার কথা থাকলেও এখন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২০ -২৫ হাজার কিউসেক।”
১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত ত্রিশ বছর মেয়াদী গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তি হয়।
গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবছর গড়াইয়ের উৎসমুখ বালুতে ভরে যায়। এটা দূর করতে গঙ্গা ব্যারাজ করা হচ্ছে। এটার পজিটিভ-নেগেটিভ দিক আছে, বাংলাদেশ-ভারত সেটার সমীক্ষা করছে।
এর আগে মন্ত্রী শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ী রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
রবীন্দ্র কুঠিবাড়ী রক্ষা বাঁধ প্রকল্প সর্ম্পকে আনিসুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ী রক্ষায় ২০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কুমারখালীর সুলতানপুর থেকে শিলাইদহ ঘাট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রথম পর্যায়ে ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার বাঁধ করা হবে। বাকি অংশে বালুভর্তি জিও ব্যাগ দেওয়া হবে। ২০১৮ সালের ৩১ মে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম, কুমারখালী-খোকসা আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুজিব উল ফেরদৌসসহ পানিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।