মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হক কামাল জানান, হোয়ানক ইউনিয়নের কেরুনতলীর পাহাড়ি এলাকায় শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
নিহত খলিলুর রহমান ওরফে খুইল্লা মিয়া (৫০) হোয়ানক ইউনিয়নের দেবাঙ্গপাড়ার আজমল উল্লাহর ছেলে।
এ ঘটনায় ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং তাদের মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে নাজমুল জানান।
নাজমুল বলেন, অস্ত্রসহ ‘সন্ত্রাসীদের’ একটি দল অবস্থান নিয়েছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
“খবর পেয়ে কক্সবাজার থেকে আরও পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে প্রায় দুই ঘণ্টার মতো পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধ চলে।”
তিনি বলেন, এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলের পুলিশ আশপাশের পাহাড়গুলোতে তল্লাশি শুরু করলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খলিলুলের লাশ পড়ে থাকতে দেখে।
পরে সেখান থেকে দেশে তৈরি ১৩টি বন্দুক ও ৩৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
নাজমুল জানান, খুইল্লা মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে মহেশখালী থানায় ১২টির বেশি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।