দেড় মাস আগে ‘নব্য জেএমবির সামরিক প্রধান হন’ আমিজুল

বগুড়ায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত আমিজুল ইসলাম ওরফে আল আমিন ওরফে রনি দেড়মাস আগে নব্য জেএমবির উত্তরাঞ্চলের সামরিক প্রধান হন বলে পুলিশের ভাষ্য।

জিয়া শাহীন বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 March 2017, 04:59 PM
Updated : 2 March 2017, 05:26 PM

মঙ্গলবার রাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ির বুজরুক রাধারামপুর গ্রাম থেকে রনিকে (২৩) গ্রেপ্তার করে বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে বগুড়ার শেরপুরের ভবানীপুরে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হন।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, আমিজুল ২০১৫ সালে নব্য জেএমবিতে যোগ দেন। প্রায় দেড় মাস আগে উত্তরাঞ্চলের সামরিক প্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

“এর আগে তিনি ও রাজিব গান্ধী উত্তাঞ্চলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।”

তিনি জানান, রাজিব গান্ধী এখন বগুড়ার শিবগঞ্জের শিয়া মসজিদে হামলার ঘটনায় পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন। তাকে বগুড়ার শেরপুরের জুয়ানপুরে জেএমবি আস্তানায় বোমা বিস্ফোরণ মামলায়ও রিমান্ডে নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, আমিজুল ২০০৮ সালে রাজশাহীর গোদাগাড়ির নরেন্দ্রপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করার পর গোদাগাড়ি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন ২০১০ সালে। ২০১৩ সালে গোদাগাড়ি ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএ পাশ করার পর রাজশাহী সরকারি কলেজে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন।

“সামরিক প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর আমিজুল সাংগঠনিক কাজে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করার সময় পালক পিতা গোদাগাড়ির আতাউর রহমানের বাড়িতে মাঝে মাঝে যাওয়া আসা করতেন।”

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, আমিজুল যার হাত ধরে জেএমবিতে এসেছিলেন তাকে খোঁজা হচ্ছে। জেএমবির কর্মকাণ্ডে আমিজুল সক্রিয় থাকলেও ইতিপূর্বে তাকে চেনা যায়নি। তবে সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে অনেক দিন হলো খোঁজা হচ্ছিল।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, বগুড়ার শেরপুরের জুয়ানপুর এলাকার জেএমবির আবাসস্থলে বোমা বিস্ফারণ ঘটনার সন্দেহভাজন আসামি ছিলেন আমিজুল। জুয়ানপুরের যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছিল ওই বাড়িতে তার নিয়মিত যাওয়া-আসা ছিল।

গত মঙ্গলবার রাতে বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল আমিজুলের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গোদাগাড়ির বুজরুক রাধারামপুর গ্রাম থেকে আমিজুলকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তার ছুরিকাঘঅতে গোয়েন্দা পুলিশের দুই সদস্য আব্দুস সালাম ও ইসমাইল হোসেন আহত হয়েছেন। তারা এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

পুলিশের ভাষ্য, আমিজুলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার কাছে অস্ত্র রয়েছে বলে স্বীকার করলে তাকে নিয়ে বুধবার রাত ৩টায় অস্ত্র উদ্ধারে বগুড়ার শেরপুরের ভবানীপুরে গেলে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় আমিজুল দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের  গোলাগুলির মাঝে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।