লিটন হত্যাকাণ্ড: নজরদারিতে কাদের খানের ‘সহযোগী’

গাইবান্ধার এমপি মঞ্জরুল ইসলাম লিটন হত্যায় গ্রেপ্তার কাদের খানের কথিত এক সহযোগীকে পুলিশের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

তাজুল ইসলাম রেজা গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2017, 03:44 PM
Updated : 1 March 2017, 05:45 PM

রংপুরের সেবা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন সুবল চন্দ্র সরকারকে চিকিৎসা শেষে আটক করা হবে বলে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মাশকুর রহমান খালেদ জানিয়েছেন।

বুধবার নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।  

মতবিনিময়কালে মাশকুর রহমান বলেন, কাদের খানসহ গ্রেপ্তার পাঁচ ‘কিলারের’ স্বীকারোক্তিতে এই হত্যাকাণ্ডে কাদের খানের সহযোগী হিসেবে আরও কয়েকজনের নাম এসেছে। পুলিশ তাদেরকেও খুঁজছে।

“এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ মূল আসামিদের ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া সকল প্রমাণ ও তথ্য-উপাত্ত পুলিশ সংগ্রহ করেছে। আশা করি, অল্প সময়ের মধ্যে এই মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া যাবে।”

মনজুরুল ইসলাম লিটন

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান জানান, পিত্ত থলির পাথর অপারেশনের জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি সুবল চন্দ্র সরকার রংপুরের সেবা ক্লিনিকে ভর্তি হন। পুলিশ নিশ্চিত হওয়ার পর ওই ক্লিনিকে বুধবার থেকে তাকে নজরবন্দি করে রাখে।

গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন সুন্দরগঞ্জের সাহবাজ গ্রামে নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন।

এ ঘটনায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা চিকিৎসক ও ওই আসনের সাবেক এমপি কাদের খানসহ ১২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সুন্দরগঞ্জ উপ-নির্বাচনে প্রার্থী ৭

লিটন হত্যার পর শূন্য হওয়া গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া সাত জনের মধ্যে কেউ প্রত্যাহার করেননি।

বুধবার ছিল প্রত্যাহারের শেষ দিন।

সাত প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগের গোলাম মোস্তফা আহমেদ, জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী, জাসদের মোহাম্মদ আলী প্রামানিক, জাতীয় পার্টির (জেপি) ওয়াহেদুজ্জামান সরকার বাদশা, গণফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম, এনপিপির জিয়া জামান খান ও স্বতন্ত্র মোস্তফা মোহসিন।

উপ-নির্বাচনের রিটানিং অফিসার ও রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার এই সাত প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ভোট হবে আগামী ২২ মার্চ।