গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য বুধবার এ বিবৃতি দেন তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জের মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে হত্যা করা হয় ৬ মার্চ ২০১৩। এ হত্যাকাণ্ডের চার বছরেও মামলার অভিযোগপত্র না দেওয়ায় তারা ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ।
হত্যায় জড়িত একাধিক ব্যক্তি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির মাধ্যমে হত্যা সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন, যা তারা গণমাধ্যমের খবরে জেনেছেন বলে বিবিৃতিতে উল্লেখ করেন।
তিন বছর আগে এ মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাব সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হত্যার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে সংবাদকর্মীদের একটি খসড়া অভিযোগপত্র প্রদান করেছে; কিন্তু সেই অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করা হয়নি বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়।
বিবৃতিদাতারা দ্রুত অভিযোগপত্র প্রদানের জন্য ও এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার সম্পন্ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ প্রদানের আবেদন জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন আহমদ রফিক, আনিসুজ্জামান, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সানজীদা খাতুন, কামাল লোহানী, হাসান আজিজুল হক, যতীন সরকার, বদিউল আলম মজুমদার, হায়াৎ মামুদ, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সৈয়দ আবুল মকসুদ, শান্তনু কায়সার, সফিউদ্দিন আহমদ, সারোয়ার আলী, মালেকা বেগম, শফি আহমেদ, মামুনুর রশীদ, আয়েশা খানম, মফিদুল হক, এম এম আকাশ ও আনু মুহাম্মদ।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী নারায়ণগঞ্জ নগরীর শায়েস্তা খান সড়কের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। দুদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী শাখা খাল থেকে তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। ত্বকী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সুলতান শওকত ওরফে ভ্রমর আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বর্তমানে এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ভ্রমর, জ্যাকি ও লিটন আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়। ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।