টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুজিত কুমার চৌধুরী জানান, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপ এলাকায় জেলেরা এই পোয়া মাছটি ধরেন।
মাছটি কিনে নিয়েছেন টেকনাফের মাছ বিক্রেতা রিয়াজ উদ্দিনসহ কয়েকজন।
রিয়াজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাছটি আমরা মেপে দেখেছি। এর ওজন ১২৫ কেজির একটু বেশি।
“এত বড় পোয়া মাছ জীবনে দেখি নাই। বেশি ওজনের পোয়া মাছ সচরাচর সুস্বাদু হয়।”
স্থানীয় জেলেদের বরাত দিয়ে মৎস্য কর্মকর্তা সুজিত বলেন, সোমবার রাতে সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপ এলাকার উত্তর পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ হাসানের মালিকানাধীন একটি নৌকায় সাগরে মাছ ধরতে যান খুরশিদ আলম, রশিদ আহম্মদ ও নজির আহম্মদ।
“মঙ্গলবার ভোরের দিকে নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়ার মোহনা এলাকায় তারা জাল পাতেন। আর সকালের দিকেই মাছটি ধরা পড়ে। তারা এটি শাহ পরীর দ্বীপ এলাকায় জেটিঘাটে নিয়ে এলে বিপুলসংখ্যক মানুষের ভিড় জমে যায়। মাছটি আমি দেখেছি। এর ওজন ১২৫ কেজির একটু বেশি।”
নৌকার মালিক হাসানের বরাত দিয়ে মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, মাছটি ধরা পড়ার পর টেকনাফ বাজারে নেওয়া হয়। সেখানে মাছ বিক্রেতারা বিপুল উৎসাহে মোটা অংকের দাম হাঁকেন। পরে রিয়াজ উদ্দিনসহ কয়েকজন মিলে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনে নেন। মাছটি স্থানীয় একটি হিমাগারে রাখা হয়েছে।
শাহ পরীর দ্বীপের বাসিন্দা ৭৫ বছরের আব্দুল মাবুদ বলেন, “সেই ছোটকাল থেকে সাগরে মাছ ধরা দেখে আসছি। জীবনে এত বড় পোয়া মাছ চোখে পড়ে নাই। অন্য কোথাও এত বড় মাছ ধরা পড়েছে বলেও খবর শুনি নাই।”
মাছ বিক্রেতা রিয়াজ জানান, মঙ্গলবার বিকালে মাছটি কেনার পর টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে প্রচার চালানো হচ্ছে।
“ক্রেতাদের কাছ থেকে পুরো মাছের আগাম অর্ডার পেলে কেটে বিক্রি করা হবে।”
এরই মধ্যে এক মণেরও বেশি আগাম বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানান রিয়াজ উদ্দিন।