সাংসদ লিটন হত্যা: এক আ. লীগ নেতাকে খুঁজছে পুলিশ

গাইবান্ধা -১ আসনের সাংসদ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যায় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে খুঁজছে পুলিশ।

তাজুল ইসলাম রেজা গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2017, 03:49 PM
Updated : 28 Feb 2017, 03:49 PM

লিটনের নির্বাচনী এলাকা সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক চন্দন কুমার রায়কে ধরা গেলে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে বলে মনে করছেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম।

এই হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার সাবেক সাংসদ জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুল কাদের খানের হয়ে চন্দন রায় লিটন হত্যাকাণ্ডে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন বলে দাবি করেন তিনি।

সুন্দরগঞ্জের সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর শাহাবাজ গ্রামে লিটন ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। পাশের বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ গ্রামের চন্দন তার কমিটিরই নেতা।

পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এমপি লিটন হত্যায় কাদের খানের সমন্বয়কারী ছিলেন চন্দন কুমার। চন্দনের সম্পৃক্ততার কথা কাদের খান ও তার গাড়িচালকসহ গ্রেপ্তার হওয়া চারজনই স্বীকার করেছে।”

গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে লিটনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ হত্যাকাণ্ডে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল কাদের খানকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি তার বগুড়ার বাড়ি থেকে  গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তার আগে কাদেরের গাড়িচালক আবদুল হান্নান, বাসার তত্ত্বাবধায়ক শাহিন মিয়া ও মেহেদীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কাদের খান ও তার এই কর্মচারীরা হত্যাকাণ্ডে ‘দোষ স্বীকার’ করে আদালকে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুন্দরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হায়দার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে কাদের খানের গ্রামের বাড়ির উঠান খুঁড়ে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলো পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

“লিটন হত্যায় তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি পাওয়া গেছে। অন্যটির সন্ধান চলছে।”