রাজশাহীতে চেক জালিয়াতির মামলায় শিক্ষকের ৭ বছরের দণ্ড

চেক জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় রাজশাহী কলেজের এক শিক্ষককে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2017, 10:48 AM
Updated : 28 Feb 2017, 10:48 AM

মঙ্গলবার রাজশাহী যুগ্ম মহানগর জজ-১ আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত শিরিন সুফিয়া রাজশাহী নগরের তালাইমারি এলাকার আলতাফ হোসেনের স্ত্রী। রাজশাহী কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক তিনি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুইটি ধারায় তাকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। এর মধ্যে প্রতারণার অভিযোগে তিন বছর ও চেক জালিয়াতির দায়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ মামলায় শিরিনের স্বামী আলতাফও আসামি ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে শিরিনের মা আহাদুন নেছা ও ভাই ওবাইদুল মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা শিরিনের মামলা বিচারক খারিজ করে দিয়েছেন বলে জানান বিশ্বজিৎ।

বাদী পক্ষের আইনজীবী সাইদুর রহমান খান রানা বলেন, ২০১৪ সালের ৪ অক্টোবর বোয়ালিয়া থানায় চার কোটি টাকার চেক জালিয়াতির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন শিরিনের ছোট ভাই মুক্তা ইন্টারন্যাশনার হোটেলের মালিক ওবাইদুল মুক্তাদির।

এ মামলায় ৪২০ ও ৪০৬ ধারায় শিরিন সুফিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

সাইদুর জানান, ওবাইদুল মুক্তাদিরের বাবা মারা যাওয়ার পর বাবার স্বাক্ষর করা চেকের দুইটি পাতা চুরি হয়। এ ঘটনায় বোয়ালিয়া থানায় জিডি করেন ওবাইদুল। এরপর শিরিন টাকা তোলার জন্য ব্যাংকে চেক দুইটি জমা দিলে ব্যাংক তা আটকে দেয়।

পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে শিরিন ও তার স্বামীকে আটক করে বলে জানান তিনি।  

পরে তারা আদালত থেকে জামিন নিয়ে ওই চেকের বিপরীতে চার কোটি টাকা বাবাকে ধার দিয়েছিলেন জানিয়ে ওই টাকা দাবি করে মা আহাদুন নেছা ও ভাই ওবাইদুল মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন বলে এ আইনজীবী জানান।