নিহত আবুল কালাম আজাদ (৬২) সদর উপজেলার ঘোনা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। ঘোনা বাজারে তার একটি রড-সিমেন্টের দোকান আছে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে ওই বাজারেই তাকে কয়েকজনে মিলে বেধড়ক পেটায় বলে সাতক্ষীরা থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানিয়েছেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিলে সেখানেই রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আক্তারুল ইসলাম সদর থানায় ৭জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন বলে ওসি জানিয়েছেন।
“মামলায় অভিযুক্ত চারজনকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়।”
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঘোনা গ্রামের মোমিনুল ইসলাম, ওয়াদুদ, মুন্না হোসেন ও মো. রনি।
নিহতের ছেলে আক্তারুল জানান, গ্রেপ্তার মোমিনুল তাদের দোকান থেকে কয়েক লাখ টাকার রড-সিমেন্ট বাকিতে নিয়েছিলেন।
“পাওনা টাকা চাইলে তিনি বেশিরভাগ সময়ই টালবাহানা করতেন। সোমবার রাতে আবারও টাকা চাইতে গেলে মোমিনুল ও তার সহযোগীরা বাবাকে মারধর করেন। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।”
নিহত আবুল কালাম আজাদ আট নম্বর সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেছিলেন বলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কমাণ্ডের কমাণ্ডার হাসানুল ইসলাম জানিয়েছেন।
“হাকিমপুর, কাকডাঙ্গা, ভোমরা বন্দরে আমরা একসঙ্গে লড়েছিলাম,” বলেন তিনি।