রোববার পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফকরুল হাসানের উপস্থিতিতে এ দেয়াল অপসারণ করা হয়। এ সময় বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ উপস্থিত ছিল।
ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও সাংবাদিকদের এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “খুলনায় এমপি দেয়াল দেওয়ার বিষয়ে এমপিকে অফিসে তলব করা হয়েছিল, সে ওয়াল প্রশাসন ও পুলিশ প্রসাশনকে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকালই সে ওয়াল ভাঙ্গার কাজ শুরু হয়েছে।”
এর ফলে এক প্রকার বন্দিদশায় জীবন কাটাচ্ছিলেন আবদুল আজিজসহ তার পরিবারের সাত সদস্য।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অবরুদ্ধ দেয়াল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও বিষয়টি নজরদারি করা হয়, যে কারণে রোববার দেয়াল ভেঙে দেওয়া হয়, বলেন তিনি।
অবৈধভাবে দেয়া পুরো দেয়াল ভেঙে ফেলার কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
পাইকগাছা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ গোলদার বলেন, এখানে তার জমির পরিমাণ ২০ দশমিক ৭৫ শতক। প্রায় ৭০ বছর ধরে বাড়িটিতে তারা বসবাস করছেন।
“কিন্তু গত জানুয়ারি মাসে সংসদ সদস্য শেখ মো. নুরুল হকের ছেলে শেখ মনিরুল ইসলাম জমির মালিকানা দাবি করে জমি ছেড়ে দিতে বলেন।”
তিনি বলেন, বিভিন্ন মিডিয়ায় অবরুদ্ধ থাকার খবর প্রকাশের পর রোববার দেয়াল ভেঙে দেওয়ায় তিনি স্বস্তি পেয়েছেন।
এর কারণে গণমাধ্যম ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান আজিজ গোলদার।